নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সোমবার সন্ধ্যার দিকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজনের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কারিমা বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধু গলায় ফাস দিয়ে আত্মাহত্যা করছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে নিহত গৃহবধুর মা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামীকে করে মামলা দায়ের করেন। উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের ভায়েলা পশ্চিমপাড়া এলাকা ঘটে এই ঘটনা।
নিহত গৃহবধুর মা মরিয়ম আক্তারের দেয়া লিখিত এজাহার থেকে জানা যায়, তিনি উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের আতলাশপুর এলাকার মৃত আফজাল হোসেনের স্ত্রী। ৮ বছর আগে তিনি তার মেয়ে কারিমা বেগকে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক পার্শ্ববর্তী ভায়েলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় রমিজউদ্দিনের ছেলে আজগর আলীর সাথে বিবাহ দেয়। বর্তমানের তাদের সংসারে ২টি সন্তান রয়েছে। এদিকে একবছর ধরে স্বামী আজগর আলী, শ্বশুর রমিজউদ্দিন ,শ্বাশুরি আমেলা বেগম ও ননদ সেলিনা বেগম গৃহবধু কারিমা বেগমকে বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কারিমা বেগম চলতি বছরের এপ্রিল মাসের ৩০ তারিখে স্বামীর বাড়ী থেকে পিতার বাড়ী চলে আসে। এ মাসের ৮ তারিখে স্বামী আজগর আলী ও শ্বশুর রমিজউদ্দিন ভবিষ্যতে এমন হবে বলে তাকে স্বামীর বাড়ীতে নিয়ে যায়। এদিকে, সোমবার বিকেলে ফের স্বামী আজগর আলী ও শ্বশুর বাড়ীর লোকজন কারিমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মানসিক অত্যাচার করেন। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সন্ধ্যার দিকে স্বামীর নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মাহত্যা করেন গৃহবধু কারিমা বেগম। খবর পেয়ে নিহত গৃহবধুর পরিবারের লোকজন গিয়ে ঘরের ভিতরে ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে আত্মাহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে নিহত গৃহবধুর মা বাদী হয়ে স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুরী ও ননদের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা সবাই পলাতক রয়েছে।
এব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।#